অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের মুজিবনগর দিবস পালন

টরন্টো, এপ্রিল ১৭: করোনা মহামারীর কারণে আজ এক ওয়েবিনার আলোচনায় কানাডার রাজধানী অটোয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। একই সঙ্গে তাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠের মাধ্যমে ওই আলোচনার সূত্রপাত ঘটে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ওই আলোচনার সূচনায় স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি তাদের নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠা এবং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরা হয়। সেখানে আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা এই দিবস উদযাপনের সঙ্গে নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার ব্রত লালন করতে পারবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।

এতে আরও অভিমত রাখা হয় যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাকে প্রধান করে গঠিত মুজিবনগর সরকার কেবল মাত্র নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধেরই দিক-নির্দেশনাই দেয়নি, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অপরিহার্য সংযোগ ও সমন্বয়টি সাধন করেছে। 

সেখানে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান তার বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা যথাক্রমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান, ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ বীরাঙ্গনা এবং সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠা একটি আইনগত ভিত্তিমূল গড়ে তোলে, কেননা তাতে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের অধীনে ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়যুক্তরা যোগ দেন। তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, মুজিবনগর সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন অবধি নয় মাসের সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের দিক-নির্দেশনাটি সফলভাবে দিয়েছে। ড. রহমান আরও বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছে এবং আমাদের সকলের উচিত সে লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করা যাতে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে একটি উন্নত দেশে পরিণত হয়।

পরিশেষে ওই আলোচনা সভায় জাতির জনক, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ বীরাঙ্গনা, সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।