ইইউ করোনা পাসপোর্টের বিষয়ে কানাডার উদ্বেগ

টরন্টো, এপ্রিল ২৭: ২৭টি দেশে ভ্রমনের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ ডিজিটাল গ্রীন পাসপোর্ট প্রবর্তনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় লিপ্ত হলেও কানাডা বিজ্ঞান সম্মত পন্থায় তার জনগোষ্ঠির সুরক্ষায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

 

এ বিষয়ে কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাজডুর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিধিনিষেধ আরোপের পর টিকাকরণ, একই সঙ্গে টিকাকরণপত্রের প্রচলন বিশ্বব্যাপি আলোচিত হচ্ছে এবং আমরা আমাদের অর্থনীতি ও সীমান্ত উন্মুক্তকরণের কথা ভাবছি। এতে আমাদের ভাবনায় কানাডিয়ান জনগণের সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য মুখ্য এবং সেক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মত ও প্রমানভিত্তিক।’

 

বস্তুত গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কর্মকর্তারা তাদের প্রবর্তিত তাদের ২৭টি দেশের মাঝে প্রচলিত কোভিড-১৯ ডিজিটাল গ্রীন পাসপোর্টের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় লিপ্ত হয়েছেন। তবে তারা বলেছেন, এ মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত অন্য কোনো দেশের সঙ্গে এ নিয়ে তারা কথা বলছেন না। তবে গত মাসে এ ধরণের সার্টিফিকেট ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবর্তনের উদ্যোগ গৃহীত হলেও সেটির পুঙ্খানুপুঙ্খ দিক নিয়ে কাজ চলছে।

 

সে অনুযায়ী ওই ডিজিটাল গ্রীন পাসপোর্ট বহনকারীর তথ্য সন্নিবেশ থাকবে, যেমন- ব্যক্তিটি টিকা নিয়েছেন কিনা, কোন সে টিকা ও তিনি আক্রান্ত বা সেরে ওঠার পর আদৌ পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন কিনা। আর সে সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রটি দায়িত্বশীল থাকবে; তাতে সেখানে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, পরীক্ষা কেন্দ্র ও জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য দেয়া থাকবে।

 

এছাড়াও তাতে বলা হয়েছে, এই সার্টিফিকেট বাস্তবতার মুখ দেখতে পেলে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই সার্টিফিকেট বহনকারীদের ভ্রমনের জন্য যোগ্য বিবেচনা করতে হবে, যেখানে ইইউ অনুমোদিত টিকার কথা উল্লেখ থাকবে। এ পর্যন্ত ইইউ জ্যানসেন, ফাইজারবায়োএনটেক, মর্ডানা ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে। তথাপি যারা এগুলোর বাইরে অন্য কোনো টিকা নিয়েছেন, সেটি কর্তৃপক্ষীয় অনুমোদনের উপর নির্ভর করবে এবং তা প্রতিটি রাষ্ট্রের উপর পৃথকভাবে নির্ভর করবে। এই সার্টিফিকেট আদৌ চালু হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে ইইউ মুখপাত্র বলেছেন, ‘ভ্রমন সংক্রান্ত সেই উপযোগীতাটি ইইউ ও ইইউ বর্হিভূত পরিমন্ডল থেকে আসা মহামারি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’

 

এ সব সত্ত্বেও কানাডার জনস্বাস্থ্য সংস্থা বা পাবলিক হেলথ্ এজেন্সি, সংক্ষেপে ‘পিএইচএসি’ বলেছে তবু সেখানে অনেক বিষয়ই সুস্পষ্ট নয়, এমনকী কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়টি সুস্পষ্ঠভাবে বলা হয়নি বিধায় তারা উদ্যোগী হবেন না। এতে ‘পিএইচএসি’ মুখপাত্রের ভাষ্য, ‘বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যমাফিক কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কানাডার উদ্যোগ যথার্থই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। কেননা টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তি জীবাণু সম্প্রসারণে উপসর্গহীন হতে পারেন, তবু সেই ব্যক্তি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণও হতে পারে।’