বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন নৈতিক অনুমোদন পেতে যাচ্ছে

টরন্টো, এপ্রিল ২৫: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশে তৈরি গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিনের নৈতিক অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএমআরসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। আজ স্থানীয় সময় রোববার সকালে তিনি কথা জানান। আর সেই অনুমোদনের সঙ্গে মানবদেহে চালানো হবে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ।

জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি তিনটি ভ্যাকসিনকে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রিক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়। সেটি বঙ্গভ্যাক্স নামে কোভিডের টিকা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। সেজন্য গ্লোব বায়োটেক তাদের উৎপাদিত করোনাভাইরাস টিকা মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়। রোববার বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ, সংক্ষেপে বিএমআরসি’র কাছে ওই আবেদনটি করা হয়।

বলা হচ্ছে অনুমোদন পাবার পরের সাত থেকে দশদিনের মধ্যে ট্রায়ালের জন্য ঢাকার কোন একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ’খানেক স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকাটি প্রয়োগ করা হবে।

প্রেক্ষাপট জানাতে গিয়ে গ্লোব বায়োটেকের প্রধাান নির্বাহী কর্মকর্তা কাকন নাগ গনমাধ্যমকে বলেন, ইতিপূর্বে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আবেদনটি তাদের পক্ষ থেকে করেছে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি, যাকে স্পন্সর করছে গ্লোব বায়োটেক।

এতে মিস্টার নাগের ভাষায় বক্তব্য ছিল, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে হলে সাধারণত তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে করতে হয়, সেই তৃতীয় পক্ষ হিসেবেই এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে’। আর পুরো ট্রায়ালটি পরিচালনা করবে একটি গবেষক দল। যারা সে সময় আবেদনটি জমা দিয়েছিলন এবং সেটা নিয়ে ওষুধ প্রশাসন সময় ক্ষেপন করলে ভিন্নতরভাবে বিএমআরসি’র আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে গ্লোব বায়োটেকের কাছ থেকে জানানো হয়েছিল যে, মানবদেহে গ্লোব বায়োটেকের টিকার ট্রায়ালটির বিষয়ে তাদের আবেদনপত্রে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত সব কিছু জানানো যাবে না। তবে মিসটার নাগ সে সময় বলেছিলেন, ট্রায়ালটি কোথায় হবে সেটি নৈতিক কমিটির অনুমোদনের পরই নির্ধারণ করবে। তারপরও বলা যায় যে, এটি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরিচালিত হবে।