বাংলাদেশ নির্বাচন আইন: ৫০ বছরে হয়নি, ২ সপ্তাহে কেন?

নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে ১৯৭২ ও চলতি বাংলাদেশ সংবিধানের সাকুল্যে ২-৩ পৃষ্টায় রচিত মোট ৯ ধারায় অর্থাৎ ১১৮-১২৬ এর মাঝে ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’ 

অর্থাৎ রাষ্ট্রপতিই সে সকল নিয়োগদানের উৎস। কিন্তু এখন ৫০ বছর পর লাগাতার ৩ মেয়াদের সরকার জাতীয় সংসদে প্রশ্নপূর্ণ সংখ্যাধিক্যের বলে ২ সপ্তাহে তা প্রণয়নে উদ্যোগী, যেখানে বিতর্কের জন্য প্রকৃত বিরোধীদলীয় সদস্য রয়েছেন ৭ জন।

কানাডায় ২০০০ সাল থেকে ইংলিশ ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় ২১ অধ্যায় এবং ৫৫৫ অনুচ্ছেদ বিশিষ্ট ৫৩৮ পৃষ্টার বিস্তারিত নির্বাচন সংক্রান্ত আইন রয়েছে, যেখানে শুধুই প্রধান নির্বাচন কর্তা নিয়োগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘এতে জাতীয় সংসদের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সৎ আচরণের জন্য ১০ বছর মেয়াদে একজন প্রধান নির্বাচন কর্তা নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন। তিনি সিনেট ও জাতীয় সংসদে উত্থাপিত কারণে গর্ভনর জেনারেল কর্তৃক অপসারিত হতে পারেন।’

বিষয়টি ভাবনা ও বোঝার!

Bangladesh Constitution:http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-957.html

Canadian Constitution: https://laws-lois.justice.gc.ca/PDF/CONST_TRD.pdf

Canada Elections Act: https://laws-lois.justice.gc.ca/PDF/E-2.01.pdf