৫০ বছর পূর্তিতে মারখাম জাদুঘর

টরন্টো, জুন ৪: এ বছর মারখাম জাদুঘর তাদের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছে। আর করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ পরিহারে সবাই যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছে, তখন সবার সুবিধার্থে জাদুঘরটি তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অনলাইনে তুলে ধরেছে, যেখানে জাজ্জ্বল্যপূর্ণ ইতিহাস-ঐতিহ্যে দেদীপ্যমান রয়েছে- মারখাম মুভস এক্সিবিশন, ল্যান্ডস্ক্যাপস অ্যান্ড স্ট্রিটস্ক্যাপস ক্যাটালগ, ট্রাডিশন অ্যান্ড ইনোভেশন ও মারখাম মিউজিয়াম’স হিস্ট্রোরিক বিল্ডিংস।

এতে মারখাম সিটির মেয়র ফ্রাঙ্ক স্কারপিট্টি বলেন, ‘এ বছর সিটি অব মারখাম ও মারখাম মিউজিয়ামের ৫০ বছর পূর্তিতে এই জনপদের মানুষ সেটির গুরুত্ব বিবেচনায় উদ্ভাবণের কমতি বলতে কিছু ফেলে রাখেনি। পাশাপাশি এই শহরের প্রতিষ্ঠান হিসেবে মারখাম জাদুঘর তার ঐতিহ্য ধারণ ও লালনে একাধারে উদ্ভাবণ ও শিক্ষণকে সমপরিমান মূল্যায়ণ করে চলেছে।’

১৯৭১ সালে এই জাদুঘরটি ৯৩৫০ মারখাম রোডস্থ সাবেক মাউন্ট জয় স্কুলের ঠিকানায় গড়ে উঠলে পরে সেখানে উইলিয়ামসন/স্ট্রিকলার ফার্মকে যুক্ত করা হয়। আজ সেখানে বর্তমান ও অতীত মিলে ২৫ একর জমির উপর ৪০টি ঐতিহাসিক দালান ও একটি লিড গোল্ড সার্টিফাইড কালেকশন্স বিল্ডিং রয়েছে।

ওই কালেকশন্স বিল্ডিংটি সম্প্রতি এই জাদুঘরের প্রথম কিউরেটর ও মারখাম হিস্ট্রোক্যিাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জন লুনাউয়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি মারখাম জাদুঘরের সকল প্রদর্শন সামগ্রী সংরক্ষণ থেকে শুরু করে নানাবিধ প্রদর্শনী আয়োজন ও ‘হোয়াট ইজ মারখাম অ্যান্ড ডিসকভার আওয়ার ইভল্ভিং কমিউনিটি’ নামে একটি ক্ষুদে দক্ষিণ গ্যালারি স্থাপন করেছে। সে কারণে মারখাম জাদুঘর জাতীয় আকর্ষণেরও প্রতিপাদ্য হিসেবে গণ্য হয়েছে।

তাই মারখাম জাদুঘরের ব্যবস্থাপক ক্যাথি মলয় বলেন, ‘মারখাম মিউজিয়াম তার ৫০ বছর পূর্তিতে তার জনগোষ্ঠিকে নিয়ে অতীত ও বর্তমানের মানবিক প্রযুক্তির নানা দিক, যেমন- সিরামিক, টেক্সটাইল, ধাতবকর্ম ও খাদ্য উৎপাদনকে উপস্থাপন করেছে। সেজন্য আমরা এটির প্রতিষ্ঠাকালীন দুটি প্রতিষ্ঠান মারখাম লায়ন্স ও মারখাম হিস্ট্রোক্যিাল সোসাইটিসহ শুরু থেকে আজ অবধি অগণিত স্বেচ্ছাসেবী ও উত্তরাধিকার মারখাম কাউন্সিলের পাঁচ দশকের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় গর্বিত।’

সে কারণে মারখাম জাদুঘর পরিবেশগত ইতিহাস ও মাটির সঙ্গে মানবিক সম্পর্কের বিবেচনায় মৃৎশিল্প, কৃষি, ধাতবকর্ম ও টেক্সটাইল উৎপাদনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে অতীত ও বর্তমানের সকল মানুষের প্রয়াস একীভূত, যারা মারখামকে তাদের প্রদর্শনীর মাধ্যমে আবাস, শিক্ষা কার্যক্রম, সরকারি অনুষ্ঠান, ক্যাম্প, গবেষণাসহ নানাবিধ উপায়ে অঙ্গীভূত করেছেন।
এই জাদুঘরের স্থানটি বহুবিধ বার্ষিক কার্যক্রমেরও চারণভূমি, যেখানে অ্যাপেলফেস্টে যোগ দিতে ইয়র্ক রিজিওন, গ্রেটার টরন্টো এরিয়া ও দক্ষিণ অন্টারিওর মানুষেরা যোগ দিয়ে থাকেন।

In the pic, a family enjoys the Markham Moves exhibition in the John Lunau Centre