টরন্টোয় ভ্যাকসিন উৎপাদনে স্যানফির জন্য ৯২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা মোহাম্মদ আলী বোখারী, সিএনএমএনজি নিউজ

টরন্টো, এপ্রিল ১: গতকাল টরন্টোর নর্থ ইয়র্কে ফরাসি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কর্তৃক ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্যানফির জন্য ৯২৫ মিলিয়ন ডলারের এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে কানাডার তিন পর্যায়ের সরকার যুক্ত থাকছে। সেক্ষেত্রে কানাডার ফেডারেল সরকারের ৪১৫ মিলিয়ন ডলারের পাশাপাশি অন্টারিও সরকার ৫৫ মিলিয়ন ডলার এবং স্যানফি নিজে ৪৫৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে। এছাড়া স্যানফি কানাডায় গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বছরে ৭৯ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বলে জানিয়েছে। ফলে উচ্চমাত্রার ১,২২৫টি দক্ষ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করাসহ কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে স্যানফির উচ্চমাত্রার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন হিসেবে সুপরিচিত ‘ফ্লুজোন’-এর অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করা যাবে।

তাতে স্যানফির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল হাডসন বলেন, ‘নেতৃস্থানীয় প্রতিষেধক উৎপাদক হিসেবে আমরা ক্রমবর্ধমান ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকার চাহিদা পরিপূরণে নিত্য ব্যবহার্য ডোজের বাইরে আমাদের প্রাধান্যটি বজায় রাখবো। উচ্চমাত্রার ফ্লুজোন দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতায় অগ্রসরমান বিনিয়োগ হিসেবে বিশ্বব্যাপি বয়োজৌষ্ঠদের নিরাপদ সুরক্ষাটি অক্ষুন্ন রাখবে। এছাড়া যে কোনো মহামারি প্রতিরোধে তা নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।’

অন্যদিকে কানাডার উদ্ভাবণ, বিজ্ঞান ও শিল্প মন্ত্রী ফ্রাসোয়া-ফিলিপ স্যাম্পেইন বলেন, ‘আজকের ঘোষণা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে কানাডার সক্ষমতাকে বিমূর্ত করেছে এবং কানাডার নিজস্ব উৎপাদন ক্ষেত্রকে উচ্চকিত করেছে। এটা প্রজন্মের এককালীন বিনিয়োগ হিসেবে স্বল্পকালে কৌশলী সুরাহা ও দীর্ঘমেয়াদের দূরদর্শীতা বিবেচনায় বায়োম্যাানুফেকচারিং খাতে কানাডা সরকারের অঙ্গীকারকে প্রতিভাত করেছে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের সরকার দক্ষ জনশক্তিকে কানাডায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, দক্ষ কর্মসংস্থান অব্যাহত রেখেছে এবং কানাডার সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষাটি অক্ষুন্ন রেখেছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি এবং স্যানফির মতো ম্যানুফেকচারিং প্রকল্প স্থাপনকে উৎসাহিত করেছে।’

পাশাপাশি অন্টারিও প্রিমিয়ার ডাঘ ফোর্ড বলেন, ‘এখন থেকে আর কখনোই আমাদের অন্য কোনো দেশ ও নেতার উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না, আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারবো।’ আর টরন্টোর মেয়র জন টোরি বলেন, ‘বস্তুত আজকের প্রদর্শন থেকে আমরা মহামারি থেকে কী শিখেছি, তারই প্রতিফলন ঘটেছে, এবং তার জন্য করণীয়টি করতে সক্ষম হয়েছি।’

স্যানফি প্রত্যাশা করছে প্রয়োজনীয় ডিজাইন, নির্মাণ, পরীক্ষণ এবং প্রকল্পের যন্ত্রাংশের সার্বিক যোগ্যতা পরিপূরণ শেষে এই প্রকল্পটি ২০২৬ সাল নাগাদ পুরোপুরি চালু করা যাবে।