কানাডায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আইনে প্রণীত

OTTAWA – অবশেষে স্থানীয় সময় গত ৩০ মার্চ বিকেলে কানাডার হাউজ অব কমন্সের সিনেট কক্ষে তৃতীয় ও শেষবারের মতো বিল এস-২১৪ (click here to read it) পাঠশেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আইনে প্রণীত হয়েছে, যা অতীতে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বের সংসদে অনুমোদিত হয়। 

এটির ভূমিকায় বলা হয়েছে, “সমগ্র কানাডায়, প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পরিগণ্য হবে।” যদিও দিনটিকে “সরকারি ছুটির দিন নয়” উল্লেখ করলেও বলেছে, “বৃহত্তর নিশ্চয়তায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আইনত কোনো সরকারি ছুটির দিন কিংবা কার্যত আইন-বর্হিভূত দিবসও নয়।”

ইতিমধ্যে ওই আইনের প্রস্তাবনায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ও ২০০৭ সালে জাতিসংঘের ঘোষণা সাপেক্ষে গুরুত্ব সহকারে বলা হয়েছে যে, “ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ কানাডার রাষ্ট্রীয় ভাষা; ষাটের অধিক আদিম ভাষা কানাডায় প্রচলিত; কানাডার নাগরিকরা সংখ্যাধিক্য ভাষায় কথা বলে দেশটির সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন; কানাডার সংসদ ভাষা ও সংস্কৃতির এই বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেয়; সেজন্য কানাডার সিনেট ও সংসদের পরামর্শ ও সম্মতিতে মহামান্য রানী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে আইনে প্রণয়ন করেছেন।”

এ উপলক্ষে সেদিন সংসদে ওই বিল এস-২১৪-এর প্রস্তাবক ফ্লিটউড-পোর্ট কেলস আসনের লিবারেল এমপি কেন হার্ডি ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের লিবারেল সিনেটর মোবিনা এস. বি. জাফর কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সম্মানিত রাষ্ট্রদূত ডক্টর খলিলুর রহমানের সঙ্গে মিলিত হন এবং তারা এই ধারণার উদ্যোক্তা মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মওলার প্রশংসা করেন, যে প্রতিষ্ঠানটি সূচনায় দিবসটির স্বপ্নদ্রষ্টা প্রয়াত রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালামের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত।

In the pic above, Bangladesh High Commissioner Dr. Khalilur Rahman, Senator Mobina Jaffer and MP Ken Hardie as provided by MLLWS (Mother Languages Lovers of the World Society) president Aminul Islam Moula